Logo Logo

ফরিদপুরে এ. কে. আজাদের গণসংযোগে যুবদলের হামলা, দুটি গাড়ি ভাঙচুর


Splash Image

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদের গণসংযোগে হামলার ঘটনা ঘটেছে।


বিজ্ঞাপন


কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক নায়াব ইউসুফের পক্ষে স্লোগান দিয়ে এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় একজন আহত হয়েছেন এবং এ. কে. আজাদের গাড়িবহরের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুর সদরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল চারটার দিকে এ. কে. আজাদ গণসংযোগের উদ্দেশ্যে পরমানন্দপুর বাজারে যান। প্রথমে তিনি বাজারসংলগ্ন জামে মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে তিনি গণসংযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, এমন সময় যুবদলের একটি মিছিল সেখানে এসে স্লোগান দিতে শুরু করে।

এ সময় সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নান্নু মোল্লার নেতৃত্বে আসা মিছিল থেকে ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ স্লোগান দেওয়া হয়। তারা এ. কে. আজাদকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করেন এবং নায়াব ইউসুফের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন।

স্থানীয়রা জানান, এ সময় এ. কে. আজাদের নিজস্ব নিরাপত্তা টিম তাকে ঘিরে রাখে। পরে পুলিশ এসে যুবদলের কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে যুবদল কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। পুলিশের অনুরোধে পরে এ. কে. আজাদ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, বিকেল সোয়া ৫টার দিকে এ. কে. আজাদের গাড়িবহর ঘটনাস্থল ত্যাগের সময় শেষের গাড়িটি যুবদল কর্মীরা ভাঙচুর করেন।

এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “ফরিদপুর সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে যুবদলের কোনো কমিটি নেই। পরমানন্দপুরে আমাদের কোনো নেতা-কর্মী এ ঘটনায় জড়িত নয়।”

সাবেক সংসদ সদস্য এ. কে. আজাদ বলেন, “রাজনীতিতে এমন সহিংসতার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকও এমন আচরণ করেননি। নায়াব ইউসুফের কাছ থেকে এমন আচরণ এলাকাবাসী প্রত্যাশা করে না। এটি রাজনৈতিক সংকটকে আরও ঘণিভূত করবে।” তিনি জানান, এ ঘটনায় তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

অন্যদিকে, ফরিদপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ও কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক নায়াব ইউসুফ বলেন, “আমি এসবের মধ্যে নেই। আমার নেতা-কর্মীদের স্পষ্টভাবে বলেছি, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। এ. কে. আজাদের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। তার গাড়িবহরের সঙ্গে আওয়ামী লীগ পদধারী নেতারা থাকেন, যা দেখে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।”

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, “আজ পরমানন্দপুরে হাটের দিন ছিল। সেখানে এ. কে. আজাদ গণসংযোগ করতে গিয়েছিলেন। একই সময়ে যুবদলের কর্মীরাও গণসংযোগ করছিলেন। উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থায় গেলে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হয়।”

তিনি আরও বলেন, “দুটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...