ছবি: সংগৃহীত।।
বিজ্ঞাপন
বোর্ড বিতর্ক ও মাঠের ব্যর্থতায় আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। একদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, অন্যদিকে জাতীয় দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্স—দুই মিলিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। সদ্য শেষ হওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার পাকিস্তানের বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল। সিরিজে এখনও একটি ম্যাচ বাকি থাকলেও এরই মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে টাইগাররা।
৩০ মে রাতে আইসিসির প্রকাশিত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ অবনতি ঘটেছে বাংলাদেশের। নতুন র্যাঙ্কিংয়ে দশম স্থানে নেমে গেছে দলটি। অপরদিকে, দীর্ঘদিন টি-টোয়েন্টি না খেলেও এক ধাপ এগিয়ে নবম স্থানে উঠেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট কমে এখন দাঁড়িয়েছে ২২০, যেখানে আফগানদের রয়েছে ২২৩ পয়েন্ট। টানা দুই সিরিজে হারায় টাইগাররা ৫ রেটিং পয়েন্ট হারিয়েছে। বাংলাদেশের নিচে এখন ২০২ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে আয়ারল্যান্ড।
এর আগেও ওয়ানডে ফরম্যাটে র্যাঙ্কিংয়ে একই ধরনের অবনতি হয়েছিল বাংলাদেশের। চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে দেখা যায়, গত এক বছরে খেলা ১১টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটি জিততে পেরেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ হার এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একটিও ম্যাচ না জেতায় ৪ রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে দশম স্থানে নেমে আসে দলটি। বাংলাদেশের জায়গা দখল করে নবম স্থানে উঠে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে যথারীতি রয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত (২৭১)। এরপর রয়েছে অস্ট্রেলিয়া (২৬২), ইংল্যান্ড (২৫৪), নিউজিল্যান্ড (২৪৯), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২৪৬), দক্ষিণ আফ্রিকা (২৪৫), শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান (২২৯)।
টানা পারফরম্যান্সহীনতায় যেখানে একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে জাতীয় দল, সেখানে বিসিবির অস্বচ্ছ কার্যক্রম আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে সমালোচনার মাত্রা। এখন দেখার বিষয়—আসন্ন বিশ্বকাপের আগে এই দিকভ্রান্ত অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।