বিজ্ঞাপন
রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, "দেশনেত্রীকে কারাগারে কঠোর নির্যাতন, নিঃসঙ্গতা ও নানা ধরনের অত্যাচারের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক ভূমিকা দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। নানা ষড়যন্ত্রের মধ্যেও তিনি পিছু হটেননি। বরং দেশের গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষায় দীর্ঘ ১৭ বছর অবিচল থেকেছেন।"
তিনি আরও বলেন, "আজ তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দেশের মানুষ তাঁর জন্য দোয়া করছে। আমরা আজ এই দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করেছি। সকলে তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন যেন তিনি আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসেন এবং দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নেতৃত্ব দিতে পারেন।"
রফিকুল ইসলাম জামাল উল্লেখ করেন, "এদেশে এখনো খালেদা জিয়াকে দরকার, এখনো তারেক রহমানকে দরকার। দেশের মানুষ তাদের প্রতি এতটাই আস্থাশীল যে গণতন্ত্রের জন্য তারা যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। এটাই প্রকৃত দেশপ্রেম। আমাদের আপসহীন নেত্রী যেন আরও সুস্থ থাকেন, আরও দিন বেঁচে থাকেন এবং তারেক রহমানকে দেশের ভবিষ্যৎ পরিচালনার দিকনির্দেশনা দিতে পারেন—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।"
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, "১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগ নেতারা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাঁকে গ্রেফতার না করলে তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে আটক করার পরিকল্পনা করেছিল। সেই অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়াকে এবং তাঁর দুই সন্তানকে গ্রেফতার করা হয়। জিয়াউর রহমান দৃঢ়ভাবে বলেছিলেন—‘আমরা যে যুদ্ধে নেমেছি, সেই যুদ্ধে আমরা জয়ী হবো। আমার স্ত্রী-সন্তানের কোনো ক্ষতি হলে পাকিস্তানের ১৬ লাখ সেনার কেউই সুস্থভাবে ফিরতে পারবে না।’"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, "২০০৭ সালে ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দীন সরকারের সময়েও একই ধরনের চেষ্টা করা হয়েছিল। সেনাবাহিনী প্রধান বলেছিলেন, ‘আপনি দুই সন্তানকে নিয়ে দেশ ত্যাগ করুন, তাহলেই আপনাদের ভালো থাকবে।’ কিন্তু খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশের মানুষের গণতন্ত্র ও অধিকারের জন্য আমি সন্তানদের কষ্ট মেনে নিলাম, কিন্তু দেশ ছেড়ে যাব না।’"
রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, "১৯৭১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত জিয়া পরিবার নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এই ইতিহাস আমাদের ওপর দায়িত্ব দেয়—গণতন্ত্র রক্ষার পথকে শক্তিশালী করার এবং জাতীয় নেতৃত্বকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি আরও জোরালো করার। আমরা চাই তারেক রহমান নিরাপদে দেশে ফিরে এসে জাতিকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।"
দোয়া-মিলাদ মাহফিলে রাজাপুর উপজেলার বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...