বিজ্ঞাপন
সোমবার (২ জুন) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজার সংলগ্ন মেঘনার পাড়ে ভেসে আসা অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত সাইফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন এবং গত তিন বছর ধরে জেলার বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালন করছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, দরবেশ বাজারের দক্ষিণে নদীপাড়ে মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে ছবি তুলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে।
জানা গেছে, শনিবার দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে রোহিঙ্গা রোগী, পুলিশ সদস্য, আনসার সদস্য এবং বিভিন্ন এনজিও কর্মীসহ মোট ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পথে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরের কাছে এসে ট্রলারটি বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা জানান, "মরদেহটি নদীর ঢেউয়ের সঙ্গে পাড়ে ভেসে আসে। এটি পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলামের মরদেহ বলে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তা পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ট্রলারটিতে থাকা ৩৯ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং একটি শিশুকে এখনও খোঁজা হচ্ছে। নিখোঁজ তামিম নামের এক রোহিঙ্গা শিশুকে উদ্ধারে কোস্টগার্ড তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।"
এ ঘটনায় সাইফুলের পরিবার ও সহকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রতিবেদক- গিয়াস রনি, নোয়াখালী।