ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “নির্বাচন দিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না এবং সবকিছু শেষও হয়ে যাবে না, তবে এটি হলো গোড়ার দাওয়াই। নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়।”
গণ অধিকার পরিষদের (জিওপি) আয়োজিত ‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মঙ্গলবার এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে, যেখানে দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আন্দালিব রহমান পার্থ সভায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা আমরা বলিনি, আপনি বলেছিলেন। এখন আপনার সেই ওয়াদা রক্ষা করা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, "আপনার ক্ষমতার উৎস জনগণ। যেহেতু সংসদ নাই, আপনি যাদের প্রতিনিধি হয়ে আছেন, তারা রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আপনি যে ‘সংস্কারের’ কথা বলছেন, সেখানে সাধারণ মানুষের প্রস্তাব কোথায়?”
তিনি অভিযোগ করেন, দেশে বর্তমানে দুই লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে, গার্মেন্টস শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ব্যবসায়ীরা এনবিআরের সংস্কারে হিমশিম খাচ্ছে—কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
আর্মি ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে দূরত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই দূরত্ব কে সৃষ্টি করেছে? আজকে করিডরের গুজবে কেন কনফিউশন? আমরা কনফিউশন করিনি, সেটা আপনার দিক থেকেই এসেছে।”
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। সঞ্চালনা করেন ফারুক হাসান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, এলডিপির মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফওজুল হাকিম, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।