বিজ্ঞাপন
‘যুব উৎসব ২০২৫’-এর অংশ হিসেবে এবং ‘জুলাই আন্দোলনের প্রথম বার্ষিকী’ উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নীতিনির্ধারণ, উন্নয়ন ও নেতৃত্ব বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব নীতিপত্র ও প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। এ বছর বাকৃবি অংশের মূল বিষয়বস্তু ছিল— ‘কৃষি, নদী ও উন্নয়নের গতিপথ : বঙ্গীয় বদ্বীপের পুনরাবিষ্কার।’
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ‘আইডিআরওএফ’, ফার্স্ট রানার আপ টিম ‘ডেল্টা ২১০০’, এবং সেকেন্ড রানার আপ টিম ‘বিএইউ-নোভা’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার।
সমাপনী পর্বে বাছাইকৃত পাঁচটি দল তাদের নীতিপত্র উপস্থাপন করে। সেখান থেকে সেরা তিনটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এর আগে প্রথম ধাপে অংশগ্রহণকারী ২২টি দলের মধ্যে থেকে ৯টি দল নির্বাচিত হয়, পরবর্তীতে সেখান থেকে পাঁচটি দল চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রায় ২২টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। তরুণদের এই প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। আমি সবসময় চাই তারা আরও এগিয়ে যাক, আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেদের মেধার ছাপ রাখুক।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বলেন, “আজকের শিক্ষার্থীরা যেভাবে নিজেদের ধারণা উপস্থাপন করছে, আমাদের সময়ে তা কল্পনাতীত ছিল। এখন শিক্ষায় যে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, সেটিই আসলে অগ্রগতির ভিত্তি। তরুণরা দেশ নিয়ে কী ভাবছে এবং বিশ্ব পরিবর্তনে তাদের ভূমিকা কী হতে পারে—এই আয়োজনের মাধ্যমে সেটিই প্রতিফলিত হয়েছে। নেতৃত্ব, প্রযুক্তি ও জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে তারা রাষ্ট্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।”
দেশের তরুণ প্রজন্মকে নীতি প্রণয়ন ও নেতৃত্বের চর্চায় উদ্বুদ্ধ করাই ছিল এ প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এমন নীতি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...