খেজুর উৎপাদনে ফিলিস্তিনের রেকর্ড, রপ্তানিতে উল্লম্ফন। ছবি:- সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
চলতি কৃষি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ খেজুর উৎপাদন করেছে ফিলিস্তিন। দেশটির কৃষি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৫ মৌসুমে উৎপাদন দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫ হাজার ৩০০ টন, যা গত বছরের ২২ হাজার টনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
ফিলিস্তিনের খেজুর উৎপাদন মূল্যায়ন বিষয়ক সর্বোচ্চ কমিটি জানায়, টানা ২১ দিন মাঠ পর্যায়ে সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বর্তমানে ৮৯৩টি খেজুর বাগানে প্রায় ৩ লাখ ৫১ হাজার গাছ রয়েছে, যার মধ্যে ৩ লাখ ২২ হাজার গাছ ফলন দিচ্ছে। নতুন করে লাগানো প্রায় ১২ হাজার ৩০০ গাছ এখনও ফলন পর্যায়ে পৌঁছেনি।
কমিটির চেয়ারম্যান আশরাফ বারাকাত বলেন,
“খেজুর এখন ফিলিস্তিনের অন্যতম কৌশলগত কৃষি সম্পদে পরিণত হয়েছে। সরকার, বেসরকারি খাত ও কৃষকদের যৌথ প্রচেষ্টায় উৎপাদন ও রপ্তানি—দুই ক্ষেত্রেই বড় সাফল্য এসেছে।”
ফিলিস্তিনের কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছর তারা ৩৫টিরও বেশি দেশে ১৬ হাজার টন খেজুর রপ্তানি করেছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে ‘ফিলিস্তিনি খেজুর’ এখন একটি স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
মূল্যায়ন কমিটিতে কৃষি মন্ত্রণালয় ছাড়াও আর্থিক নিয়ন্ত্রণ দপ্তর, কৃষক ইউনিয়ন, খেজুর চাষি সমবায়, জেরিকো ও জর্ডান উপত্যকা প্রশাসন এবং নিরাপত্তা সংস্থার প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত আছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় বাজারেও ফিলিস্তিনি খেজুরের চাহিদা বেড়েছে। পণ্যের মান বজায় রাখতে সরকার গুণগত নজরদারি ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আরও জোরদার করেছে।
আশরাফ বারাকাত মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশংসা করে বলেন,
“প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও তারা যে নিখুঁতভাবে তথ্য সংগ্রহ করেছেন, তা এই খাতের উন্নয়নে দিকনির্দেশক ভূমিকা রাখবে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ফিলিস্তিন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শীর্ষ খেজুর রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
তথ্যসূত্র: সাদানিউজ
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...