শায়খ আহমাদুল্লাহ
বিজ্ঞাপন
প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখেছেন, “কাদের খুশি করার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো?” বুধবার রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, দীর্ঘদিন ধরে গণমানুষের প্রাণের দাবি ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের। কিন্তু সেই দাবি আজও বাস্তবায়িত হয়নি। অথচ সরকার প্রাথমিকে গানের শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, এই দেশে কত শতাংশ মানুষ সন্তানকে গান শেখায়? কত শতাংশ অভিভাবক চান স্কুলে গানের শিক্ষক থাকুক? বরং অধিকাংশ অভিভাবক চান, বিদ্যালয়ে যেন তাদের সন্তানকে গান শেখানো না হয়। অথচ দেশের প্রায় সব অভিভাবকই সন্তানদের জন্য প্রাইভেট ধর্মীয় শিক্ষক রাখেন কিংবা মক্তবে পাঠান।
শায়খ আহমাদুল্লাহর মতে, সরকার যদি বিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিত, তাহলে অভিভাবকদের বাড়তি খরচ ও ঝামেলা পোহাতে হতো না, শিক্ষার্থীদেরও সময় বাঁচতো। অথচ প্রাথমিক শিক্ষায় হাজার কোটি টাকা ব্যয় হলেও শিক্ষার মান ক্রমেই নিম্নমুখী হচ্ছে। এর ফলে একদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতি অভিভাবকদের আস্থা কমছে, অন্যদিকে কিশোর গ্যাংসহ নানা অপরাধ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি মনে করেন, এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রতি জোর দেওয়া জরুরি। কিন্তু সরকার তার পরিবর্তে গানের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন—“কাদের খুশি করার জন্য গানের শিক্ষক নিয়োগে প্রজ্ঞাপন জারি হলো?”
শেষে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণ-আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে বাইরে থেকে আমদানি করা সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার পথ পরিহার করতে হবে। দেশের মানুষ ইতোমধ্যেই এসব পরিবর্তন চায়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...