ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপে এ কথা বলেন সিইসি। এ সময় অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, “দেশের জন্য কিছু করতে এবারের নির্বাচন জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। এবার জাতিকে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার বিকল্প নেই।”
তিনি আরও বলেন, এবিউজ অব এআই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়ানোসহ নিত্যনতুন নানা চ্যালেঞ্জের মুখে নির্বাচন কমিশনকে কাজ করতে হচ্ছে। “আমরা দায়িত্ব নিয়েছি এক বিশেষ পরিস্থিতিতে। আমার বয়স ৭৩ বছর, জীবনে আর চাওয়ার কিছু নেই। এটা আমার শেষ সুযোগ—একটা সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়াই লক্ষ্য,” যোগ করেন তিনি।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারী নেত্রীদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, “আজ আমরা শুনব যারা নির্বাচনে সরাসরি কাজ করেছেন তাদের মতামত। আপনারা জানেন নির্বাচনে কোথায় কী সমস্যা, কী গ্যাপ রয়েছে। আপনাদের সুচিন্তিত মতামতগুলো বিবেচনা করে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই।”
তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবী এবং হাজতিদের ভোটের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য আইটি-সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট ও হাইব্রিড পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
সিইসি আরও বলেন, “প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভোট দেওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময়। নারী ও পুরুষ ভোটারের পার্থক্য ৩০ লাখ ছিল, সেটা কমিয়ে এনেছি। পোস্টাল ব্যালটের একটি মডেল তৈরি করেছি। পারব কিনা জানি না, তবে চেষ্টা করব।”
সংলাপে উপস্থিত ছিলেন ইসির সাবেক সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব খন্দকার মিজানুর রহমান, মো. নূরুজ্জামান তালুকদার, উপসচিব মিহির সরওয়ার মোর্শেদ, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (ঢাকা) শাহ আলম, সাবেক যুগ্মসচিব মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান, সাবেক উপসচিব মিছবাহ উদ্দিন এবং সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মীর মো. শাহজাহান।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...