ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী রবিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা দেন।
এর আগে দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষকদের ওপর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও লাঠিচার্জ ব্যবহার করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশের বাধার মুখে শিক্ষকরা পরে শহীদ মিনারে মিছিলসহ সমবেত হন। সেখানে অবস্থান নেয়ার পর তারা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানান।
অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, “জনদুর্ভোগ এড়াতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের অবস্থান কর্মসূচি এখন থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলবে। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকেই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আলোচনার মাধ্যমে, সহযোগিতার মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন নিয়েই বিজয়ী বেশে আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরব।” তিনি আরও বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতার প্রজ্ঞাপন না হবে, ততক্ষণ আমরা শহীদ মিনার ছাড়ব না, ঢাকার রাজপথও ছাড়ব না।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশ শিক্ষক নেতাদের সরে যেতে বললে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে ছত্রভঙ্গ হন। পরে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে তারা মিছিলসহ শহীদ মিনারে সমবেত হন।
শিক্ষক সংগঠনটি শনিবার প্রেস ক্লাবের সামনের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সোমবারের মধ্যে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি না হলে কর্মবিরতির আলটিমেটাম দিয়েছিল। আজকের ঘটনার পর সেই কর্মসূচি একদিন এগিয়ে এনে নতুন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সংগঠনটির নেতারা জানান, সরকারের ঘোষিত বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির হার ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি এবং সর্বজনীন বদলি নীতির বাস্তবায়নের দাবি জানান।
এর আগে ১৩ আগস্ট একই দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনেই বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিল সংগঠনটি। সে সময়ও তারা ১৪ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধাপে ধাপে কর্মবিরতি পালন করেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...