ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৫ অক্টোবর) অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মাছউদ।
তিনি বলেন, “পলিটিক্যাল পার্টি—সে যে পার্টিই হোক, যারা রেজিস্টার্ড তারাই শুধু ইলেকশনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। যেসব দলের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ, সেগুলোর ব্যাপারে ইসির কিছু করণীয় নেই।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার বা সংশ্লিষ্ট সংস্থা যদি অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়, তবে ইসি সেই পদক্ষেপকে সমর্থন জানাবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
এছাড়া নির্বাচনে প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে কঠোর অবস্থানে থাকার ঘোষণা দেন কমিশনার মাছউদ। তিনি বলেন, “ডিজিটাল মাধ্যমে নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো অপব্যবহার বা গুজব ছড়ানো হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।”
তিনি আরও জানান, “এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) বা ডিজিটাল মাধ্যমে নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো অপব্যবহার হলে, আমরা আরপিওতে (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) একটি নতুন সেকশন ৭৩-এর ‘এ’ যুক্ত করেছি। সেখানে বলা হয়েছে, এরকম হলে সেটা অপরাধমূলক আচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং তার জন্য সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।”
আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “এটা আমরা স্পেশালি এখানে ল করেছি। জেনারেল ল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট আছে, তার অধীনেও মামলা হতে পারে।”
গুজব মোকাবিলা প্রসঙ্গে তিনি এটিকে শুধু জাতীয় নয়, বরং একটি ‘গ্লোবাল প্রবলেম’ হিসেবে উল্লেখ করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তাবগুলোকে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছেন বলেও জানান তিনি।
তার ভাষায়, “এটাকে প্রতিরোধ, দমন ও শনাক্তকরণের জন্য সরকার যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সেটা নির্বাচন কমিশনের জন্য সহায়ক হবে।”
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “যেমন—নির্বাচনের ক’দিন আগে কেউ হঠাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলো যে, অমুক প্রার্থী তো প্রত্যাহার করেছে অমুকের পক্ষে। এমন বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য আমরা আইনগত শাস্তির বিধান করছি।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...