ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) গুলশানে এক অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলার অবনতি কোথায়? মাঝে মাঝে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে, যেমন সম্প্রতি হাদির ঘটনা। এগুলো আমরা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখি।”
সিইসি অতীতের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, “এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার সময়েও এমন ঘটেছে।”
তিনি জানান, নির্বাচন নিয়ে কিছু আশঙ্কা থাকলেও কমিশনের পক্ষ থেকে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যায় যে, কোনো সংশয় নেই। “আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সবার সহযোগিতায় আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চাই। আপনারা দুশ্চিন্তা মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন,” বলেন তিনি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সিইসি বলেন, “মাঝে মাঝে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে, তবে বড় ধরনের কোনো অবনতি হয়নি। যদি ৫ আগস্ট বা ২৪-এ যে পরিস্থিতি ছিল তা দেখেন, তখন থানাগুলো কার্যকর ছিল না, পুলিশ স্টেশনও নড়ছিল না। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক উন্নত হয়েছে। আমাদের বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং নির্বাচনের সময় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখবে।”
সিইসি আরও বলেন, “নির্বাচন সঠিকভাবে, সুন্দর ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন ইনশাআল্লাহ জাতিকে এই ওয়াদা পূরণ করবে। আমরা সবাই মিলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেব।”
নাসির উদ্দীন বলেন, “এবারের নির্বাচন ঐতিহাসিক। প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিরা ডাকযোগে ভোট দিতে পারবে। প্রায় ১০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কারাবন্দি এবং নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে থাকা সরকারি কর্মচারীরাও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটে অংশ নিতে পারবেন। পাশাপাশি, গণভোটও একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।”
সিইসি আরও যোগ করেন, “এই নির্বাচন সফল করতে নির্বাচন কমিশন একা পারে না। তরুণ প্রজন্মসহ সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সবাই মিলে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করব।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...